পাণ্ডুলিপি-নির্দেশ
সংগ্রহ: পাণ্ডুলিপি
এই অংশে আমাদের প্রাপ্ত সব পাণ্ডুলিপির ছবি ও প্রতিলিপি সংগৃহীত হয়েছে।
এখানে বাংলা ও ইংরেজি রচনার মধ্যে তফাৎ করা হয়নি, কারণ একই পাণ্ডুলিপিতে অনেক সময় উভয় ভাষার রচনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
- RBVBMS: রবীন্দ্রভবনের মূল পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ
- BMSF: রবীন্দ্রভবনের ‘বাংলা পাণ্ডুলিপি ফাইল’ (Bengali Manuscript Files) সংগ্রহ
- EMSF: রবীন্দ্রভবনের ‘ইংরেজি পাণ্ডুলিপি ফাইল’ (English Manuscript Files) সংগ্রহ
- HRVD: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হুটন গ্রন্থাগারের রোথেনস্টাইন সংগ্রহ
পাণ্ডুলিপি ও প্রতিলিপি দুইভাবে দেখা যায়:
(ক) পাণ্ডুলিপি-সূচী১। ‘পাণ্ডুলিপি-সূচী’ ক্লিক করুন। সব পাণ্ডুলিপি ও তাদের অন্তর্ভুক্ত রচনার তালিকা-সম্বলিত একটি সারণি খুলে যাবে।
২। আপনার অভীষ্ট পাণ্ডুলিপি-সংখ্যার উপর ক্লিক করুন। পাণ্ডুলিপির ছবি ও প্রতিলিপির পাতা খুলে যাবে। পাতায় সঞ্চালন (navigation)-এর দুটি উপায় আছে:
- কীবোর্ডের সাহায্যে
- টুলবারের সাহায্যে। উপরে ডানদিকের টুলবার-চিহ্নে ক্লিক করে টুলবার খুলুন।
কীবোর্ড | শর্টকাটগুলি |
---|---|
Home | প্রথম পৃষ্ঠা দেখুন |
End | শেষ পৃষ্ঠা দেখুন |
Backspace | আগের পৃষ্ঠা দেখুন |
Enter | পরের পৃষ্ঠা দেখুন |
উর্ধ্বতীর | পৃষ্ঠার উপরে চলে যান |
নিম্নতীর | পৃষ্ঠার নীচে চলে যান |
বামমুখী তীর | পৃষ্ঠার বাঁদিকে চলে যান |
দক্ষিণমুখী তীর | পৃষ্ঠার ডানদিকে চলে যান |
+ | বড় করে দেখুন (zoom in) |
- | ছোট করে দেখুন (zoom out) |
৪। প্রতিলিপি দেখার সময় এই কীবোর্ড শর্টকাটগুলি ব্যবহার করা যাবে:
কীবোর্ড | শর্টকাটগুলি |
---|---|
Pg Up | পৃষ্ঠার উপরে চলে যান |
Pg Dn | পৃষ্ঠার নীচে চলে যান |
Ctl+ | অক্ষর বড় করুন |
Ctl- | অক্ষর ছোট করুন |
স্পেস বার | প্রতিলিপির জানলা খুলে দিন / বন্ধ করে দিন |
(খ) শিরোনাম-সূচী
শিরোনাম-সূচী-র সাহায্যে পাণ্ডুলিপির অন্তর্ভুক্ত সব রচনার সন্ধান পাওয়া যাবে।
১। আপনার অভীষ্ট রচনার শিরোনাম বাছুন: হয় বর্ণানুক্রমিক মেনুতে ক্লিক করে, অথবা বাঁদিকের ‘অন্বেষণ’-এর ঘরে শিরোনামটি লিখে।
২। শিরোনামের বিবরণসূচী পেয়ে গেলে, অভীষ্ট পাণ্ডুলিপি-সংখ্যায় ক্লিক করে সেই পাণ্ডুলিপিতে ওই রচনার ছবি ও প্রতিলিপি দেখুন। সঞ্চালনের উপায় ও শর্টকাটের জন্য উপরে দেখুন।
(গ) পাণ্ডুলিপির ছবি ও প্রতিলিপি
পাণ্ডুলিপির ছবি ও প্রতিলিপি ক্লিক করেও পাণ্ডুলিপি-সারণিতে পৌঁছে, সেখান থেকে পাণ্ডুলিপির ছবি ও প্রতিলিপি খোলা যায়।
পাণ্ডুলিপি ও মুদ্রিত পাঠের সাধারণ প্রতিলিপি-পদ্ধতি
সব পাণ্ডুলিপি, মুদ্রিত বই ও পত্রিকার ছবি ছাড়াও, প্রত্যেকটির পাঠের প্রতিলিপি পরিবেশিত হয়েছে .txt UTF-8 format-এ। এগুলি দেখতে হলে ‘রচনাসূচী: সম্পূর্ণ তালিকা’ অথবা ‘পাঠান্তর’ অংশের সারণিতে চিত্রচিহ্নে ক্লিক করুন।
সারণিতে পাঠের পাশে বা চিত্রচিহ্ন না থাকলে বুঝতে হবে, সেই পাঠটি পাওয়া যায়নি।
সমীকরণ
পাঠকের সুবিধার জন্য এবং পাঠান্তর-প্রণালীর স্বার্থে সব পাঠের প্রতিলিপিতে কিছু সাধারণ নিয়ম প্রয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে কখনও-কখনও মূল পৃষ্ঠার বিন্যাস সামান্য পরিবর্তিত হয়েছে। মূল বিন্যাস ছবি দেখলে বোঝা যাবে।
- মুদ্রিত বইয়ের গোড়ায় বা শেষে পেশ করা তথ্যের – নামপত্র, উৎসর্গ, সূচী, পুষ্পিকা ইত্যাদি – প্রায়শ প্রতিলিপি করা হয়নি, কারণ তাতে পাঠান্তর-প্রণালীতে অসুবিধা দেখা দিতে পারে।
- পংক্তি, স্তবক, সংলাপ ইত্যাদির মধ্যবর্তী ফাঁক:
- কবিতার দুই স্তবকের মধ্যে এক লাইন ফাঁক রাখা হয়েছে, কিন্তু গদ্যে দুই অনুচ্ছেদের মধ্যে রাখা হয়নি। স্তবক-ভাগ স্পষ্ট না হলে আমাদের বিচারমত ভাগ করা হয়েছে।
- কোনও নাটকে গদ্য ও পদ্য উভয় ধরণের সংলাপ থাকলে, সংলাপের প্রত্যেক অংশের মধ্যে এক লাইন ফাঁক রাখা হয়েছে, কিন্তু গদ্য নাটকের ক্ষেত্রে হয়নি। শেষের কবিতা প্রভৃতি প্রচুর পদ্য-সম্বলিত দু-একটি গদ্যগ্রন্থের ক্ষেত্রেও ফাঁক রাখা হয়েছে। পাঠান্তর-প্রণালীর স্বার্থে এই ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।
- শিরোনাম, নির্দেশিকা, মঞ্চনির্দেশ প্রভৃতির ক্ষেত্রে ফাঁকের ব্যবহার কখনও-কখনও পরিবর্তন করা হয়েছে। মূল বিন্যাস ছবি দেখলে বোঝা যাবে।
- পংক্তির গোড়ায় বা মাঝখানে ফাঁক:
- গদ্য-রচনায় সব অনুচ্ছেদ বাঁদিকের মার্জিন থেকে শুরু করা হয়েছে।
- পদ্যের সব পংক্তি বাঁদিকের মার্জিন থেকে শুরু করা হয়েছে, মূলে মার্জিন থেকে কিছুটা ফাঁক রেখে (indent করে) ছাপা হলেও।
- পদ্য-পংক্তিতে পর্বযতি বা মধ্যচ্ছেদ বোঝাতে হ্যাশ-চিহ্ন (#) ব্যবহৃত হয়েছে। পর্বযতির স্থান স্পষ্ট না হলে আমাদের বিচারমত ভাগ করা হয়েছে।
- নাটকের মঞ্চনির্দেশ, বক্তার নাম প্রভৃতি:
- নাটকের অঙ্ক ও দৃশ্য-সংখ্যা, দৃশ্যের শুরুতে স্থান-কালের উল্লেখ, উপস্থিত পাত্রপাত্রীদের নাম, মঞ্চ-নির্দেশ, সংলাপে বক্তার নাম ইত্যাদির প্রতিলিপিতে কিছু সাধারণ নিয়ম অনুসৃত হয়েছে।
- বক্তার নাম ও সংলাপের সূচনা সব সময় এক পংক্তিতে রাখা হয়েছে।
- রচনার শেষে রচনার স্থান, তারিখ ও সময় সব সময় একই ভাবে বিন্যস্ত হয়েছে।
- পাঠোদ্ধারে সংশয় থাকলে, অনিশ্চিত পাঠটি « » বন্ধনীর মধ্যে রাখা হয়েছে।
- সব মুদ্রণপ্রমাদ প্রতিলিপিতে বজায় রাখা হয়েছে, কিন্তু উল্টে-যাওয়া টাইপ সংশোধন করা হয়েছে।
পাণ্ডুলিপির প্রতিলিপি: বিশেষ নিয়মাবলী
সব পাণ্ডুলিপির ছবির পাশাপাশি তার প্রতিলিপি পরিবেশিত হচ্ছে, .txt UTF-8 format-এ। প্রতিলিপিগুলি দুইভাবে পেশ করা হয়েছে:
- সমস্ত পাণ্ডুলিপির একটানা প্রতিলিপি। এই প্রতিলিপিতে পাণ্ডুলিপির প্রথম থেকে শেষ পৃষ্ঠা পর-পর লিপ্যয়িত হয়েছে, পৃষ্ঠাগুলির বর্তমান ক্রম অনুসারে। বহু ক্ষেত্রে কোনও রচনার বিভিন্ন অংশ পাণ্ডুলিপির নানা স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো আছে, সুতরাং এই প্রতিলিপি থেকে একটি বিশেষ রচনার সুসংবদ্ধ পাঠোদ্ধার সহজ না-ও হতে পারে। এই প্রতিলিপির প্রধান উদ্দেশ্য হস্তলিপি-উদ্ধার, বর্জন-সংযোজন ইত্যাদি বুঝতে সাহায্য করা, ও লেখকের সৃষ্টির প্রক্রিয়া সুস্পষ্ট করা। সেজন্য এই প্রতিলিপি পাণ্ডুলিপির ছবির পাশে প্রদর্শিত হয়েছে। বর্জন-সংযোজন ইত্যাদি বোঝাতে নিম্নের চিহ্নগুলি ব্যবহৃত হয়েছে।
- কোনও বিশেষ রচনার ক্ষেত্রে, ওই পাণ্ডুলিপি থেকে প্রাপ্ত চূড়ান্ত পাঠের প্রতিলিপি। আমাদের প্রস্তুত বিশেষ ‘ফিলটার সফটওয়ার’-এর সাহায্যে, সব বর্জন-সংযোজনের শেষে ওই পাণ্ডুলিপি অনুসারে রচনাটির চূড়ান্ত পাঠ উদ্ধার করে এই প্রতিলিপি প্রস্তুত হয়েছে।
পাণ্ডুলিপি-প্রতিলিপিবিধি
- বর্জিত অংশের পাঠোদ্ধার সম্ভব হলে তা প্রতিলিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
- লিপিচিত্র বা ‘ডুডল’ তুলে ধরার কোনও চেষ্টা হয়নি। তার নীচেকার বর্জিত পাঠ উদ্ধার করা সম্ভব হলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
- অনেক পাণ্ডুলিপিতে পৃষ্ঠাসংখ্যার একাধিক ক্রম আছে। প্রতিলিপিতে সবচেয়ে স্পষ্ট ও সুসংহত ক্রমটি অনুসৃত হয়েছে। তেমন কোনও ক্রম পাওয়া না গেলে একটি নতুন ক্রম ব্যবহার করা হয়েছে।
- পৃষ্ঠাসংখ্যা বোঝাতে দুটি তারাচিহ্ন (**) ব্যবহার করা হয়েছে। কোনও পৃষ্ঠায় সংখ্যা না থাকলে সাধারণ ক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি সংখ্যা নির্দিষ্ট হয়েছে।
- পাণ্ডুলিপিতে প্রায়ই রচনার শিরোনামের উল্লেখ থাকে না। শিরোনামগুলি রচনাবলী থেকে, বা ক্ষেত্রবিশেষে অন্য মুদ্রিত সংস্করণ থেকে গৃহীত হয়েছে, আগে একটি তারাচিহ্ন (*) দেওয়া আছে।
- মূল পাণ্ডুলিপিতে নেই, এমন কোনও টীকা, মন্তব্য, উল্লেখ ইত্যাদি তারাচিহ্ন (*) দিয়ে নির্দিষ্ট হয়েছে।
- এক পাণ্ডুলিপিতে একই রচনার একাধিক খসড়া থাকলে সেগুলি *১, *২ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
- য়, র, ড়, ঢ় প্রভৃতি অক্ষরে বিন্দু বাদ পড়ে থাকলে তা বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। লিপ্যয়নে অন্যান্য ছোটখাটো ভ্রমত্রুটিও নীরবে সংশোধন করা হয়েছে। ভ্রম বা মুদ্রণপ্রমাদ রক্ষা করার সাধারণ নিয়মের এগুলি ব্যতিক্রম।
চিহ্ন | ব্যবহার/টীকা |
---|---|
<পাঠ> | বর্জিত পাঠ |
{পাঠ} | সংযোজিত পাঠ |
+++ | পাঠোদ্ধার করা যায়নি |
±পাঠ± | পাঠের অবস্থান অনিশ্চিত |
৲পাঠ৩৲ পাঠ২ পাঠ২ পাঠ২ পাঠ২ পাঠ২ ৴পাঠ১৴ | স্থানান্তরিত পাঠ |
[\পাঠ\] | নিম্নরেখিত পাঠ |
⋋১ম পাঠরূপ⋋ ⋌২য় পাঠরূপ⋌ | এক সঙ্গে একই রচনাংশের দুটি পাঠরূপ |
≮পাঠ≯ | stet: বর্জিত পাঠের পুনর্গ্রহণ |
[~ ] অথবা [~] | মার্জিনে কোনও টীকা, মন্তব্য, নির্দেশ প্রভৃতি থাকলে সেটি [~ ] চিহ্নের মধ্যে বসানো হয়েছে। মূল পাঠের যে অংশের পাশে সেটি বসানো আছে, পাঠের সেই অংশের গোড়ায় ও শেষে [~] চিহ্ন বসানো হয়েছে। |
<⋏⋏> অথবা {⋏পাঠ⋏} অথবা <⋎⋎> অথবা {⋎পাঠ⋎} | রেখা, তীরচিহ্ন বা তারাচিহ্নের সাহায্যে কোনও ছোট পাঠ্যাংশ বাক্য/বাক্যাংশের) স্থানান্তর ঘটলে: বাক্য/বাক্যাংশ নীচ থেকে উপরে উঠে এলে এই চিহ্ন:
|
⋀ অথবা ⋁ | কোনও বড় অংশ বা স্তবক নীচ থেকে উপরে উঠে এলে, যেখানে স্থানান্তরিত হচ্ছে সেখানে এই চিহ্ন: ⋀ কোনও বড় অংশ বা স্তবক উপর থেকে নীচে নেমে গেলে, যেখানে স্থানান্তরিত হচ্ছে সেখানে এই চিহ্ন: ⋁ এই সব ক্ষেত্রে, পাঠের আদি অবস্থানে কোনও চিহ্ন বসানো হয়নি। |
∟ | মূল পাণ্ডুলিপিতে ∟, খাড়া দাগ ইত্যাদি চিহ্ন দিয়ে স্তবক বা অনুচ্ছেদ ভাঙার ইঙ্গিত থাকলে, প্রতিলিপিতে পরের অংশটি নতুন স্তবক বা অনুচ্ছেদে বসানো হয়েছে, আগে ∟ চিহ্ন দিয়ে। |